প্রতিটা ঘামের একটা সুগন্ধ আছে।কালো হাত যেমন একদিকে সাদা,ঠিক তেমন।পিতার ঘামের সুগন্ধ তার সন্তান অনুভব করে।প্রেমিকের ঘামের সুগন্ধে প্রেমিকা খুঁজে নেয় আশ্রয়।কিভাবে সমান্তরাল রেখা আগামীর কাঁটাতার হয়ে যায় তা আমরা দেখি রোজ। কাঁটাতারেও ঘাম লেগে যায় মাঝে মাঝে।ঘামের পদ্য লিখতে লিখতেও সুগন্ধি ঘাম গড়িয়ে পড়েছে কপাল বেয়ে। প্রাচীন সভ্যতা গড়ে নিয়েছিল চাকা।তারপর ঘুরতে ঘুরতে অনেকটা এগিয়ে এখন আবার পিছিয়ে পিছিয়ে আগামীর দিকে(ঘামের দুর্গন্ধ আসছে)। চাঁদের গায়ে ঘামের দাগগুলো স্পষ্ট। বড্ড তীক্ষ্ণ।কয়েক কোটি বছর ধরে মৃদু প্রেম দিতে দিতে ঘেমে নেয়ে একসা।কিন্তু সুগন্ধটা ঠিক বজায় আছে।যেদিন আমাদের পড়ার ইন্দু জেঠু মারা গেল সেদিন জেঠুর শবযাত্রী বন্ধুদের গায়েও ঘামের সুগন্ধ পেয়েছিলাম।ইন্দু জেঠু মানে ইন্দ্রনাথ সরকার।নকশাল ছিলো।খুঁড়িয়ে হাঁটতো। আমি প্রতিদিন ঘামের সুগন্ধ পাই টোটোচালকের বা এসি ঘরে থাকা সেলস এক্সিকিউটিভের।একটা সময় আসে ধীরে ধীরে অনেকের ঘামের সুগন্ধ কমে আসে,আসে দুর্গন্ধ।তীব্র দুর্গন্ধ।লাল বাতিও ঢাকতে পারেনা সেই দুর্গন্ধ। বালিশে তোষকে মিশে থাকে দুর্গন্ধ। আয়নায় মুখ দেখলে ভেসে ওঠে দুর্গন্ধ। পোড়া শহর প্রতিদিন ছড়িয়ে দেয় ছাই,কিন্তু ঘামের সুগন্ধ নিতে জানে সেও।
আমি ঘামের সুগন্ধ নিতে নিতে ঘুমিয়ে পড়ি মাঝরাতে আমার আধ ছেঁড়া কাঁথাটায় ।
No comments:
Post a Comment