পাহাড় আর বাইক আমার বড্ড প্রিয়। কাজের ফাঁকে সময় পেলেই বাইক নিয়ে এদিক ওদিক । যাদের বাইক চলোনোর নেশা তাদের কাছে পাহাড়ে বাইক চালানো একটা স্বপ্ন । যদিও বাইকে উত্তরবঙ্গ যেতে পারিনি এখনো , কিছুদিন আগে গেছিলাম বেলপাহাড়ি।বাঙলার পশ্চিম প্রান্তের পাহাড়ি গ্রাম । তারই কথা...
অনেকদিন বাইক টুর হয়নি।ভাবছিলাম কোথায় কোথায় যাই ।বাইক আর পাহাড় দুটোই আমায় খুব টানে । পাহাড়ি কোনো গ্রামের কথা অনেকদিন ধরেই মাথায় ঘুরছিল। না উত্তরবঙ্গ না । আমাদের দক্ষিণবঙ্গের ই কোনো পাহাড়ি গ্রাম ।
প্রস্তুতি শুরু । কাজের সূত্রে বেড়ানোর আগের তিনদিন কাটাতে হয়েছে চব্বিশ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে।ফলে কিছু প্যাক করার সুযোগ হয়নি । অনেক রাতে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে জাস্ট কয়েকঘন্টার ঘুম। ভোর সাড়ে চারটেতে রওনা দেবার ভাবনা ছিল। কারণ পথ অনেক । বাড়ি থেকে দূরত্ব ২৩১কিমি।শেষ পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট করলাম ৫.১৫ ।আমাদের এই যাত্রায় দুটি বাইক । আমরা মোট চার জন । ডানকুনি পেরিয়ে বম্বে রোড। গাড়ি ছুটলো।টানটান রাস্তা । গাড়ির কাঁটা কখন যে আশি ছুঁয়েছে খেয়াল করিনি। কোলাঘাট এ থামলাম, চা পানের বিরতি।
এবারে আমরা যাচ্ছি বেলপাহাড়ি।ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড় ঘেরা মিষ্টি জনপদ বেলপাহাড়ি।ইউটিউব দেখে গ্রামটাকে মন দিয়ে ফেলেছিলাম ।
মেদিনীপুরে দাঁড়ালাম সকালের পেট পুজো করতে।ইডলি সম্বর দিয়ে একটা দারুণ প্রাতরাশ সারলাম ।আবার গাড়ি স্টার্ট। গোপগড় এর রাস্তা ঢুকতেই শুরু হল অসামান্য দৃশ্যপট।কিন্তু বাদ সাধলো বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল যে বৃষ্টি হতে পারে। আমরা খুব একটা পাত্তা দিইনি। যাই হোক খারাপ ভালো রাস্তা পেরিয়ে আমরা বেলপাহাড়ি ঢুকলাম। রাহুল দা কে আগে থেকেই বলা ছিল ওনার গেস্ট হাউসে থাকবো । সেই মত সব ব্যবস্থা করেও রেখেছিলেন। খুব সুন্দর করে সাজানো বেলপাহাড়ি গেস্ট হাউস।ঘরগুলি খুব পরিষ্কার ও আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন। টিপ টিপ বৃষ্টি আমাদের ক্রমাগত বাধা দিচ্ছিল ।কিন্তু যখনই পাহাড়ের কাছে হাত পেতেছি নিরাশ করেনি ওর অসামান্যতা থেকে । এবারও না ।
একটু ফ্রেশ হয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম বেলপাহাড়ি...
আমরা আজকে যাবো
ঢাঙিকুসুম
চাতরা
কাঁকড়াঝোড় ।
টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। তবে আমাদের দমন করা যাবেনা। আমরা গাড়ি ছোটালাম ঢাঙিকুসুমের দিকে। পথ এত সুন্দর হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।একটা মিষ্টি পাহাড় ঘেরা গ্রাম। তার এক পাশে ডু ংরি ঝর্ণা । যদিও এখন জল নেই।কিন্তু বনের পথ অসামান্য।বনের পথে গাড়ি বন্ধ করে আমরা উপভোগ করছিলাম নিষ্তব্ধতা। পাতার ওপর বৃষ্টির ফোঁটা পরার শব্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে আমরা অনেক সময় আমরা ঝাড়খণ্ড এ ঢুকে গেছিলাম । এই জায়গার অনেক অংশ ঝাড়খণ্ড রাজ্যে।
ঢাঙিকুসুম দেখে আমরা গাড়ি ছোটালাম কাঁকড়াঝোড় এর দিকে।না আমার আগে পাহাড়ে গাড়ি চালাবার কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা। কিন্তু কাঁকড়াঝোড় এর রাস্তায় সেটা হয়ে গেলো। পথের বাঁকগুলি উত্তরবঙ্গের পাহাড়কে মনে করিয়ে দিচ্ছিল।আদিবাসী মানুষের সহজ সরল জীবন এই গ্রামের সম্পদ। এখান থেকে ঘাটশিলা মাত্র ২০ কিমি ।কাঁকড়াঝোড় গ্রামটি ছবির মত। আঁকাবাঁকা পথ ও সামনে পাহাড় । বারেবারে আমাদের গাড়ি থমকে গেছে ছবি তুলতে।বৃষ্টিতে গ্রামের রূপ আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে ।ফেরার পথে রাহুল দার কথা মত আমরা গেলাম চাতরা , এটি প্রাকৃতিক একটি জলাধার। যদিও বৃষ্টি ও বনের পথ এর জন্য আমরা সবটা যেতে পারিনি। জলধারার নিম্ন অংশ দেখেই ফিরেছি।জলধারার ওপর গাড়ি নিয়ে একটু কেত ও মারলাম।আবার বৃষ্টি। আমরা ফেরার পথ ধরলাম ।বেলপাহাড়ি আসলে অনুভব করার জায়গা। ফেরার পথে মুড়ি , চপ নিয়ে ফিরলাম। রাতের খাবার এর অর্ডার দিয়ে এলাম, রুটি আর দেশি মুরগির মাংস । এখানে বেশি রাত অবধি দোকান খোলা থাকেনা।গেস্ট হাউসে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আমরা বসলাম চপ মুড়ির আড্ডায়। সারাদিনে তিনশো কিমি গাড়ি চালানোর ক্লান্তি এক নিমেষে উধাও।আড্ডায় উঠে এল দিল্লি ভোট থেকে এনআরসি প্রসঙ্গ।রাতের খাবার এল যথা সময়ে । আহা মাংসটা এত সুন্দর করেছিল আজও মুখে লেগে আছে।ডিনার সেরে সোজা বিছানায়।
এক ঘুমে সকাল। ঘুমে ভাঙলো মোরোগের ডাকে। আমাদের গেস্ট হাউসটি একদম জঙ্গল লাগোয়া। নানা পাখির ডাকে সকালটা অসামান্য। আমরা দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম।আজ অনেক কিছু দেখার আছে। গতকাল বৃষ্টির পর আজ আবহাওয়া খুব সুন্দর।ডালপুরি চা খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। আজ যাবো
গাডরাসিনি পাহাড়
খাঁদারানী লেক
লালজল পাহাড়
ঘাঘরা ফলস
প্রথমেই গেলাম গাডরাসিনি পাহাড়। রাস্তা আবারও অসামান্য ।পাহাড়ের তলায় আছে আশ্রম। প্রায় ১০০০ মিটার উঁচু এই পাহাড়।কিছুটা উঠে বাসুদেব মন্দির।মন্দির চাতালে বসে একটু বিশ্রাম নিলাম। আবার ওঠা। পাহাড়ের মাথায় শিব মন্দির। পাহাড়ের একদম ওপর থেকে দৃশ্য চোখ জুড়ানো ।একদিকে খাঁদারানী লেক আর একদিকে সবুজ পাহাড় । যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড় । যারা পাহাড় প্রেমী তাদের জন্য এই পাহাড় মুগ্ধতা । বারবার বলতে ইচ্ছে করছিল আহা কি দেখিলাম জন্ম জন্মান্তরেও ভুলবো না।আমরা অনেকক্ষন পাহাড়ের মাথায় বসে রইলাম এক পাহাড় বিষ্ময় নিয়ে।এবার নামার পালা। খুব সাবধানে । না হলে পিছলে যাবার প্রবল ভয়।নিচে নেমে আশ্রমে গেলাম। ফল প্রসাদ দিল । সাথে এক গ্লাস প্রশান্তির জল ।এবার যাবো খাঁদারানী লেক।আমরা একটা গ্রামের পথ ধরলাম। সাধারণ মানুষের জীবন দেখতে দেখতে খাঁদারানী এলাম। না মোটেই খাঁদা নয় এই রানী। এক নৈস্বর্গিক রূপ চারিদিকে
। লেকের জলে পরিযায়ী পাখিদের জলকেলি আমাদের বাইক চালানোর সব কষ্ট দূর করে দিল।
এবার গন্তব্য লালজল পাহাড়।এই পাহাড় যাবার রাস্তা অবর্ণনীয় সুন্দর , অসামান্য ,অভাবনীয় । আর ভাষা পাচ্ছিনা।প্রায় সাত আট কিমি রাস্তা আমাদের মোহিত করে রেখেছিল। লালজল পাহাড়ের তলায় মন্দির দর্শন করলাম। কিন্তু পাহাড়ে আর উঠিনি।খেজুর গুড় তৈরি হচ্ছিল এখানে , খেলাম এবং কিনলাম। খুব সুন্দর স্বাদ ।এখান থেকে বেড়িয়ে আমাদের শেষ গন্তব্য ঘাগরা ফলস ।এখন জল কম। তবে তিরতির করে বয়ে চলা জলধারা বেশ মনোরম । এখানে গিয়ে পর্যটকদের আচরণে খুব মর্মাহত হলাম। নানারকম প্লাস্টিক এর প্যাকেট , সিগারেট এর প্যাকেট চারিদিকে ছড়ানো । আমাদের এক বন্ধু প্রচুর প্যাকেট ওখান থেকে তুলে ডাস্টবিন এ ফেলে দেয়।সেলফি তুলে নাচানাচি করে আমাদের ফেরার পালা। সোজা মেদিনীপুর। এখানেই দুপুর না বিকালের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা। ফেরার পথে শের ই পাঞ্জাব এ চা সিঙ্গারা লস্যি । চা টা কিন্তু খাসা করে ...
এবারের মত শেষ।দু দিনে মোট গাড়ি চালিয়েছি ৬০০ কিমি । ছবি গুলি পাতি মোবাইলে তোলা , একটু ক্ষমা করে দেবেন।
অনেকদিন বাইক টুর হয়নি।ভাবছিলাম কোথায় কোথায় যাই ।বাইক আর পাহাড় দুটোই আমায় খুব টানে । পাহাড়ি কোনো গ্রামের কথা অনেকদিন ধরেই মাথায় ঘুরছিল। না উত্তরবঙ্গ না । আমাদের দক্ষিণবঙ্গের ই কোনো পাহাড়ি গ্রাম ।
প্রস্তুতি শুরু । কাজের সূত্রে বেড়ানোর আগের তিনদিন কাটাতে হয়েছে চব্বিশ পরগনার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে।ফলে কিছু প্যাক করার সুযোগ হয়নি । অনেক রাতে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে জাস্ট কয়েকঘন্টার ঘুম। ভোর সাড়ে চারটেতে রওনা দেবার ভাবনা ছিল। কারণ পথ অনেক । বাড়ি থেকে দূরত্ব ২৩১কিমি।শেষ পর্যন্ত গাড়ি স্টার্ট করলাম ৫.১৫ ।আমাদের এই যাত্রায় দুটি বাইক । আমরা মোট চার জন । ডানকুনি পেরিয়ে বম্বে রোড। গাড়ি ছুটলো।টানটান রাস্তা । গাড়ির কাঁটা কখন যে আশি ছুঁয়েছে খেয়াল করিনি। কোলাঘাট এ থামলাম, চা পানের বিরতি।
এবারে আমরা যাচ্ছি বেলপাহাড়ি।ঝাড়গ্রাম জেলার পাহাড় ঘেরা মিষ্টি জনপদ বেলপাহাড়ি।ইউটিউব দেখে গ্রামটাকে মন দিয়ে ফেলেছিলাম ।
মেদিনীপুরে দাঁড়ালাম সকালের পেট পুজো করতে।ইডলি সম্বর দিয়ে একটা দারুণ প্রাতরাশ সারলাম ।আবার গাড়ি স্টার্ট। গোপগড় এর রাস্তা ঢুকতেই শুরু হল অসামান্য দৃশ্যপট।কিন্তু বাদ সাধলো বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাস ছিল যে বৃষ্টি হতে পারে। আমরা খুব একটা পাত্তা দিইনি। যাই হোক খারাপ ভালো রাস্তা পেরিয়ে আমরা বেলপাহাড়ি ঢুকলাম। রাহুল দা কে আগে থেকেই বলা ছিল ওনার গেস্ট হাউসে থাকবো । সেই মত সব ব্যবস্থা করেও রেখেছিলেন। খুব সুন্দর করে সাজানো বেলপাহাড়ি গেস্ট হাউস।ঘরগুলি খুব পরিষ্কার ও আধুনিক ব্যবস্থা সম্পন্ন। টিপ টিপ বৃষ্টি আমাদের ক্রমাগত বাধা দিচ্ছিল ।কিন্তু যখনই পাহাড়ের কাছে হাত পেতেছি নিরাশ করেনি ওর অসামান্যতা থেকে । এবারও না ।
একটু ফ্রেশ হয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম বেলপাহাড়ি...
আমরা আজকে যাবো
ঢাঙিকুসুম
চাতরা
কাঁকড়াঝোড় ।
টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। তবে আমাদের দমন করা যাবেনা। আমরা গাড়ি ছোটালাম ঢাঙিকুসুমের দিকে। পথ এত সুন্দর হতে পারে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।একটা মিষ্টি পাহাড় ঘেরা গ্রাম। তার এক পাশে ডু ংরি ঝর্ণা । যদিও এখন জল নেই।কিন্তু বনের পথ অসামান্য।বনের পথে গাড়ি বন্ধ করে আমরা উপভোগ করছিলাম নিষ্তব্ধতা। পাতার ওপর বৃষ্টির ফোঁটা পরার শব্দ ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব না। এদিক ওদিক ঘুরতে ঘুরতে আমরা অনেক সময় আমরা ঝাড়খণ্ড এ ঢুকে গেছিলাম । এই জায়গার অনেক অংশ ঝাড়খণ্ড রাজ্যে।
ঢাঙিকুসুম দেখে আমরা গাড়ি ছোটালাম কাঁকড়াঝোড় এর দিকে।না আমার আগে পাহাড়ে গাড়ি চালাবার কোনো অভিজ্ঞতা ছিলনা। কিন্তু কাঁকড়াঝোড় এর রাস্তায় সেটা হয়ে গেলো। পথের বাঁকগুলি উত্তরবঙ্গের পাহাড়কে মনে করিয়ে দিচ্ছিল।আদিবাসী মানুষের সহজ সরল জীবন এই গ্রামের সম্পদ। এখান থেকে ঘাটশিলা মাত্র ২০ কিমি ।কাঁকড়াঝোড় গ্রামটি ছবির মত। আঁকাবাঁকা পথ ও সামনে পাহাড় । বারেবারে আমাদের গাড়ি থমকে গেছে ছবি তুলতে।বৃষ্টিতে গ্রামের রূপ আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে ।ফেরার পথে রাহুল দার কথা মত আমরা গেলাম চাতরা , এটি প্রাকৃতিক একটি জলাধার। যদিও বৃষ্টি ও বনের পথ এর জন্য আমরা সবটা যেতে পারিনি। জলধারার নিম্ন অংশ দেখেই ফিরেছি।জলধারার ওপর গাড়ি নিয়ে একটু কেত ও মারলাম।আবার বৃষ্টি। আমরা ফেরার পথ ধরলাম ।বেলপাহাড়ি আসলে অনুভব করার জায়গা। ফেরার পথে মুড়ি , চপ নিয়ে ফিরলাম। রাতের খাবার এর অর্ডার দিয়ে এলাম, রুটি আর দেশি মুরগির মাংস । এখানে বেশি রাত অবধি দোকান খোলা থাকেনা।গেস্ট হাউসে ফিরে ফ্রেশ হয়ে আমরা বসলাম চপ মুড়ির আড্ডায়। সারাদিনে তিনশো কিমি গাড়ি চালানোর ক্লান্তি এক নিমেষে উধাও।আড্ডায় উঠে এল দিল্লি ভোট থেকে এনআরসি প্রসঙ্গ।রাতের খাবার এল যথা সময়ে । আহা মাংসটা এত সুন্দর করেছিল আজও মুখে লেগে আছে।ডিনার সেরে সোজা বিছানায়।
এক ঘুমে সকাল। ঘুমে ভাঙলো মোরোগের ডাকে। আমাদের গেস্ট হাউসটি একদম জঙ্গল লাগোয়া। নানা পাখির ডাকে সকালটা অসামান্য। আমরা দ্রুত রেডি হয়ে নিলাম।আজ অনেক কিছু দেখার আছে। গতকাল বৃষ্টির পর আজ আবহাওয়া খুব সুন্দর।ডালপুরি চা খেয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। আজ যাবো
গাডরাসিনি পাহাড়
খাঁদারানী লেক
লালজল পাহাড়
ঘাঘরা ফলস
প্রথমেই গেলাম গাডরাসিনি পাহাড়। রাস্তা আবারও অসামান্য ।পাহাড়ের তলায় আছে আশ্রম। প্রায় ১০০০ মিটার উঁচু এই পাহাড়।কিছুটা উঠে বাসুদেব মন্দির।মন্দির চাতালে বসে একটু বিশ্রাম নিলাম। আবার ওঠা। পাহাড়ের মাথায় শিব মন্দির। পাহাড়ের একদম ওপর থেকে দৃশ্য চোখ জুড়ানো ।একদিকে খাঁদারানী লেক আর একদিকে সবুজ পাহাড় । যতদূর চোখ যায় শুধু পাহাড় আর পাহাড় । যারা পাহাড় প্রেমী তাদের জন্য এই পাহাড় মুগ্ধতা । বারবার বলতে ইচ্ছে করছিল আহা কি দেখিলাম জন্ম জন্মান্তরেও ভুলবো না।আমরা অনেকক্ষন পাহাড়ের মাথায় বসে রইলাম এক পাহাড় বিষ্ময় নিয়ে।এবার নামার পালা। খুব সাবধানে । না হলে পিছলে যাবার প্রবল ভয়।নিচে নেমে আশ্রমে গেলাম। ফল প্রসাদ দিল । সাথে এক গ্লাস প্রশান্তির জল ।এবার যাবো খাঁদারানী লেক।আমরা একটা গ্রামের পথ ধরলাম। সাধারণ মানুষের জীবন দেখতে দেখতে খাঁদারানী এলাম। না মোটেই খাঁদা নয় এই রানী। এক নৈস্বর্গিক রূপ চারিদিকে
। লেকের জলে পরিযায়ী পাখিদের জলকেলি আমাদের বাইক চালানোর সব কষ্ট দূর করে দিল।
এবার গন্তব্য লালজল পাহাড়।এই পাহাড় যাবার রাস্তা অবর্ণনীয় সুন্দর , অসামান্য ,অভাবনীয় । আর ভাষা পাচ্ছিনা।প্রায় সাত আট কিমি রাস্তা আমাদের মোহিত করে রেখেছিল। লালজল পাহাড়ের তলায় মন্দির দর্শন করলাম। কিন্তু পাহাড়ে আর উঠিনি।খেজুর গুড় তৈরি হচ্ছিল এখানে , খেলাম এবং কিনলাম। খুব সুন্দর স্বাদ ।এখান থেকে বেড়িয়ে আমাদের শেষ গন্তব্য ঘাগরা ফলস ।এখন জল কম। তবে তিরতির করে বয়ে চলা জলধারা বেশ মনোরম । এখানে গিয়ে পর্যটকদের আচরণে খুব মর্মাহত হলাম। নানারকম প্লাস্টিক এর প্যাকেট , সিগারেট এর প্যাকেট চারিদিকে ছড়ানো । আমাদের এক বন্ধু প্রচুর প্যাকেট ওখান থেকে তুলে ডাস্টবিন এ ফেলে দেয়।সেলফি তুলে নাচানাচি করে আমাদের ফেরার পালা। সোজা মেদিনীপুর। এখানেই দুপুর না বিকালের খাবার খেয়ে আবার যাত্রা। ফেরার পথে শের ই পাঞ্জাব এ চা সিঙ্গারা লস্যি । চা টা কিন্তু খাসা করে ...
এবারের মত শেষ।দু দিনে মোট গাড়ি চালিয়েছি ৬০০ কিমি । ছবি গুলি পাতি মোবাইলে তোলা , একটু ক্ষমা করে দেবেন।
রাহুল দার নম্বর -8972999926
Darun darun
ReplyDeleteFantabulous
ReplyDeleteAssume
ReplyDelete