পরিযায়ী শ্রমিক। নামটাই অদ্ভুত । কিন্তু গোটা দেশ, হ্যাঁ আমার দেশ ওদের ওই নামেই ডাকে। কাজ বন্ধ, রাষ্ট্র তাদের বাড়ি ফেরার আর্তনাদ শুনতে পায়নি, বলা ভালো শুনতে চাইনি ।তাই নিজেরাই রেলপথ ধরে ফিরছিল। ক্লান্তি জড়িয়ে আসায় লাইনেই ঘুম। রাষ্ট্র নিয়ে গেল তাজা ১৬ টি প্রাণ। আমি চিৎকার করে কাঁদতে পারিনা, প্রতিবাদ করতে পারিনা, ওদের কাছে ছুটে যেতে পারিনা, লিখতে পারি, তাই লিখলাম, পলাশ আঁকতে পারে,তাই আঁকলো, আমার দেশের ১৬ জন নাগরিকের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি...
দেশ আমার শুয়েই ছিলো
পিপাসার্ত গলায়
রাষ্ট্র নামক রেলগাড়িটার
লোহার চাকার তলায়।
রাত্রি তখন মাঝ আকাশে
ক্লান্তি ওদের পায়
ঘুমিয়ে গেলেও জানতো না যে
জীবনটা শঙ্কায়।
কাজ ছিলনা ছাদ ছিলনা
নাম ছিলনা জানা
ঘুমিয়ে ছিলো লোহার পাতে
রাষ্ট্র দিলো হানা।
অসহায় ওরা নিরুপায় ওরা
চাঁদের ঘরেতে বাস
পরিযায়ী প্রাণ, শ্রমিকের মান
নিমেষেই হলো লাশ।
ঘুরেও দেখিনি রাষ্ট্রপিতা
লাশেতে পড়েনি ফুল
পরিযায়ী নাম জন্ম ওদের
চূড়ান্ত এক ভুল।
শোকপ্রস্তাব পাঠ হয়নি তো
স্মৃতিও চারণ নয়
খেটেখাওয়াদের যন্ত্রণা বুঝি
মৃত্যুমুখীই হয়।
দেশ আমার শুয়েই ছিলো
পিপাসার্ত গলায়
রাষ্ট্র নামক রেলগাড়িটার
লোহার চাকার তলায়।
রাত্রি তখন মাঝ আকাশে
ক্লান্তি ওদের পায়
ঘুমিয়ে গেলেও জানতো না যে
জীবনটা শঙ্কায়।
কাজ ছিলনা ছাদ ছিলনা
নাম ছিলনা জানা
ঘুমিয়ে ছিলো লোহার পাতে
রাষ্ট্র দিলো হানা।
অসহায় ওরা নিরুপায় ওরা
চাঁদের ঘরেতে বাস
পরিযায়ী প্রাণ, শ্রমিকের মান
নিমেষেই হলো লাশ।
ঘুরেও দেখিনি রাষ্ট্রপিতা
লাশেতে পড়েনি ফুল
পরিযায়ী নাম জন্ম ওদের
চূড়ান্ত এক ভুল।
শোকপ্রস্তাব পাঠ হয়নি তো
স্মৃতিও চারণ নয়
খেটেখাওয়াদের যন্ত্রণা বুঝি
মৃত্যুমুখীই হয়।