Friday, 22 May 2020

পরিযায়ী

পরিযায়ী শ্রমিক। নামটাই অদ্ভুত । কিন্তু গোটা দেশ, হ্যাঁ আমার দেশ ওদের ওই নামেই ডাকে। কাজ বন্ধ, রাষ্ট্র তাদের বাড়ি ফেরার আর্তনাদ শুনতে পায়নি, বলা ভালো শুনতে চাইনি ।তাই নিজেরাই রেলপথ ধরে ফিরছিল। ক্লান্তি জড়িয়ে আসায় লাইনেই ঘুম। রাষ্ট্র নিয়ে গেল তাজা ১৬ টি প্রাণ। আমি চিৎকার করে কাঁদতে পারিনা, প্রতিবাদ করতে পারিনা, ওদের কাছে ছুটে যেতে পারিনা, লিখতে পারি, তাই লিখলাম, পলাশ আঁকতে পারে,তাই আঁকলো, আমার দেশের ১৬ জন নাগরিকের কাছে আমরা ক্ষমা চাইছি...






দেশ আমার শুয়েই ছিলো
পিপাসার্ত গলায়
রাষ্ট্র নামক রেলগাড়িটার
লোহার চাকার তলায়।

রাত্রি তখন মাঝ আকাশে
ক্লান্তি ওদের পায়
ঘুমিয়ে গেলেও জানতো না যে
জীবনটা শঙ্কায়।

কাজ ছিলনা ছাদ ছিলনা
নাম ছিলনা জানা
ঘুমিয়ে ছিলো লোহার পাতে
রাষ্ট্র দিলো হানা।

অসহায় ওরা নিরুপায় ওরা
চাঁদের ঘরেতে বাস
পরিযায়ী প্রাণ, শ্রমিকের মান
নিমেষেই হলো লাশ।

ঘুরেও দেখিনি রাষ্ট্রপিতা
লাশেতে পড়েনি ফুল
পরিযায়ী নাম জন্ম ওদের
চূড়ান্ত এক ভুল।

শোকপ্রস্তাব পাঠ হয়নি তো
স্মৃতিও চারণ নয়
খেটেখাওয়াদের যন্ত্রণা বুঝি
মৃত্যুমুখীই হয়।





Tuesday, 5 May 2020

হেমন্তের আজান

হেমন্তের আজান

অজানা একতারা ডাকে
হেমন্তের আজানে
ঠোঁটে নামে অন্ধকার
হঠাৎ ডালিম বাগানে।

ফুসফুসে বিড়ি পাতা
শ্বাস নেয় আরো
নিকোটিনে ভরে ওঠে
হৃদয়ের গুড়ো।

তুমি একা জানলায়
আমি খোলা মাঠে
প্রেমের পদ্য লিখি
সিঁদুর হাতে।

হেমন্ত উঁকি মারে
মাঠেঘাটে রোদ
আড়চোখ দেখে নেয়
অসাম্য বোধ।

প্রতিবাদী হতে পারি
তবু মনে ভয়
বিধাতা তো একজনই
ঈশ্বরই হয়।

Friday, 1 May 2020

সবুজ ঘ্রাণ



লাশ জমেছে দূর পাহাড়ে
রাতে ভন ভন মাছি,
টান পড়েছে চাল ভাঁড়ারে
তবুও বেঁচে আছি।

পাড়ায় পাড়ায় খাট আসছে
তুলসিপাতা চোখে
ভুলেই গেছে কাঁদতে মানুষ
পাথর জমা শোকে।

হারিয়ে যাচ্ছে সভ্যতা রঙ
আকাশ শুধু নীল
শহরজুড়ে উড়তে থাকে
মনভাগারের চিল।

পথের ধুলো যাচ্ছে মিশে
বেদনার সাথে কালো
এই সুযোগে রাখাল তুমি
নিষিদ্ধ দ্বীপ জ্বালো।

আমরা সবাই হাততালি দিই
ফসল মরে মাঠে,
সবুজ ঘ্রাণের আশায় চাষী
বাজার সাজায় হাটে।